পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলতুলি ব্লকের কুন্দখালি গ্রামে এক শিশুর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে মা মাফুজা পিয়াদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে তোয়েব আলি পিয়াদারের সাথে মাফুজার বিয়ে হয়। আর চার বছর বয়সী সন্তান মহারুপ আছে। তোয়েব অভাবের জেরে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকে। আর মাফুজা শিশুসন্তানকে নিয়ে গ্রামেই থাকত। এদিকে মাফুজার প্রতিবেশী যুবক আবুল হাসানের সাথে বন্ধুত্ব, প্রেমের সর্ম্পকে পরিণত হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তোয়েব না থাকলে মাঝেমধ্যেই আবুল মাফুজার বাড়িতে আসত। এই সম্পর্কের কথা গ্রামে জানাজানিও হয়ে যাওয়ায় দু’জনে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে একত্রে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আবুল জানায়, “মহারুপকে না নিয়ে গেলে তবেই বিয়ে করবে তাই আবুল ও মাফুজা তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
চোখের সামনে নিজের সন্তানের মৃত্যু দেখতে পারবেন না বলে আবুল মাফুজাকে দোকানে পাঠিয়ে দিয়ে খুন করে চম্পট দেয়। এরপর এলাকাবাসীরা পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, মহারুপের হাত-পা ভাঙা ছিল। পেটে কাটা দাগও লক্ষ করা হয়। তারপর মৃতদেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে জানান, “কুলতুলি থানার পুলিশ শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন। যদিও এখনো অবধি পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে অভিযুক্ত আবুলের খোঁজে তল্লাশী চালাচ্ছেন।