নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া এফ জি রোডে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে খোদ শাশুড়ি দুই ছেলের বউয়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা হীরালাল মাহাতো, স্ত্রী রামপতি মাহাতো ও দুই পুত্র সহ তাদের সংসার নিয়ে বসবাস করেন। রামপতি দেবী দুই ছেলের বউকেই পছন্দ করতেন না। বেশ কয়েকদিন থেকে দুই ছেলের বউদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। এমনকি পরিবার নিয়ে দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেছিলেন।
এছাড়া দুই ছেলে এবং তাদের পরিবারকে বাড়িতে থাকলেও জল, বাথরুম কোনো কিছুই ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না। বাথরুমের দরজা ও জানালার কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে তার বিবাহিত একমাত্র মেয়ে সাহায্য করতেন।
এর জেরে অশান্তি লেগেই থাকত। গতকাল অশান্তি চরমে ওঠার পর শাশুড়ি দুই বউমার গায়ে ঘর থেকে ৮ লিটার কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। ছোটো ছেলের স্ত্রী পালালেও বড়ো ছেলের স্ত্রী পালাতে না পারায় দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
বড়ো বউয়ের চিৎকার শুনে তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রথমে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ভদ্রেশ্বর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছেন।
স্বামী হীরালাল মাহাতো জানান, “তিনি স্ত্রীকে সমর্থন করতেন না। প্রতিবাদ করলেও রামপতি কোনো কথা শোনেননি।” হীরালালের নাতি সংগীত মাহাতো ঠাকুমার পাশাপাশি পিসিরও শাস্তির দাবী জানিয়েছে।