নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ কোচবিহারের পারাডুবি এলাকায় ১৭ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে ঝিলিককে মা সুচিত্রা বর্মণ সামলাতে না পেরে খাঁচায় বন্দি করে রেখে দিয়েছে। যা সত্যিই এক অমানবিকতার পরিচয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিলিক জন্মগত ভাবেই মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাকে নিয়ন্ত্রণ করা মা-বাবার পক্ষে অসাধ্য হয়ে ওঠায় খাঁচায় বন্দি করে রেখেছেন। ঝিলিকের বাবা শ্যামল বর্মণ কর্মসূত্রে বাইরে কাজ করেন। মেয়ের সুচিকিত্সা করার চেষ্টা করলেও কোনো সফলতা আসেনি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অভিযোগ উঠছে যে, সরকারী সহায়তার জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে নিরুপায় হয়ে ঝিলিককে বাড়িতেই বিনা চিকিত্সায় খাঁচায় বন্দি করে রাখতে বাধ্য হয়েছে। কারণ ঝিলিককে একা ছেড়ে দিলেই হাতের সামনে যা পায় সেটাই খেয়ে ফেলে। এছাড়া ঘর থেকে বেরিয়ে আশপাশের জঙ্গলেও চলে যায়। সবসময় চোখে চোখে আগলে রাখা কার্যত অসম্ভব হওয়ায় খাঁচাই একমাত্র ভরসা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
খাঁচাবন্দি ঝিলিকের ছবি সামনে আসায় অনেকেই সরব হয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতির দিকে তাকালে সরাসরি মা-বাবাকে দোষারোপও করা যায় না। আবার এর পাশাপাশি চোখের সামনে কোনো কিশোরীকে খাঁচায় বন্দি করে রেখে মানবাধিকারের লঙ্ঘনও মেনে নেওয়া যায় না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআজ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে ঝিলিককে দেখতে বহু সরকারী কর্তারা এসে সহায়তার আশ্বাস দিলেও এখনো ঝিলিকের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত।