পড়াশোনা করতে চাওয়ায় মা ও স্বামীর হাতে চরম শাস্তি পেল নাবালিকা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়া থানা এলাকায় এক জন নাবালিকা বিয়ের পরও পড়াশোনার করতে চাওয়ায় মা ও স্বামী মিলে তার চুল কেটে শাস্তি দিলেন। প্রথম থেকেই নাবালিকার বিয়েতে মত ছিল না। পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড়ো হয়েছিল। কিন্তু ওই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পড়াশোনা করতে চেয়ে এরকম শাস্তি পাওয়ায় এলাকার সকলে একেবারে স্তম্ভিত।

জানা গিয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার সাথে ধুবুলিয়া থানা এলাকার এক জন যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পরেও ওই নাবালিকা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার শর্তেই বিয়েতে রাজি হয়েছিল। তবে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই ওই যুবক তার বিদ্যালয় ও টিউশন যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর সে শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো ক্রমে মায়ের বাড়ি পালিয়ে আসে। সেখানে মা এবং স্বামী মিলে ওই নাবালিকার চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই প্রতিবেশী নাবালিকার উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন।


অভিযোগকারী প্রতিবেশী জানান, ‘‘ওই নাবালিকা শত কষ্টের মধ্যেও শুধু পড়তে চেয়েছিল। কিন্তু সে লজ্জায় যাতে মুখ দেখাতে না পারে, সেই জন্য ওই নাবালিকার মা আর স্বামী মিলে জোর করে চুল কেটে নেয়। পড়তে চাওয়ার জন্য যে এত বড়ো শাস্তির মুখে পড়তে হবে, আধুনিক সমাজে এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’’


কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। আর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অর্থাৎ বাল্যবিবাহ ও পকসো আইনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে যত জন অভিযুক্ত থাকবে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এমনকি নির্যাতিতার মায়ের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম শাস্তির সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930