অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ঝুপড়ির উপর ভেঙে পাশের বেশ কয়েকটি টালির চালের বাড়ি একেবারে গুঁড়িয়ে যায়। যেখানে বহুতল ভেঙে পড়েছে সেখানে ২১ জন ছিলেন। আর ১৩ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনো অবধি দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
দমকল কর্মীরা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় এখনো বহুতলের ধ্বংসস্তূপের ভিতর ছ’জন আটকে রয়েছেন। এই ছ’জনের মধ্যে এক জনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আর বাকিদের থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তবে যারা আটকে আছেন তাদের জল এবং অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সকলেই চিকিৎসাধীন আছেন। দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়, ৮৫ শতাংশ উদ্ধারকাজ হয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় বহুতলটি এমন ভাবে ভেঙে পড়েছে যে উদ্ধারকাজ করতে অনেকটা সময় লাগছে।
বিধায়ক তথা কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সারা রাত এলাকায় ছিলেন। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে। ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘‘এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বলেন, ‘‘আমাদের টিম সারা রাত কাজ করেছে। পুলিশ, মেয়র এবং মন্ত্রীর সাথে স্থানীয়রা কাজ করেছেন। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। আর বহুতলটি বেআইনী ভাবে তৈরী করা হচ্ছিল। প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। যারা এই বেআইনী কাজের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’