মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ শহরই হোক কিংবা মফরসল পথ আটকে পুজো প্যাণ্ডেল হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগণার দমদম রোডের একেবারে বেহাল অবস্থা। আর এর মধ্যেই রাস্তা জুড়ে একের পর এক কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরী হচ্ছে। যা যাতায়াতের পক্ষেও অত্যন্ত অসুবিধাজনক।
বেহাল রাস্তা কোনো ভাবে জোড়া তাপ্পি দিয়ে চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। খাল সংলগ্ন কালভার্টের মেরামতির জন্য আপাতত সেই রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধু মাত্র ছোটো গাড়ি যাতায়াত করছে। তবুও এ হেন পরিস্থিতিতে রাস্তা জুড়ে কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরী হওয়াকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, “দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে ওই এলাকায় রাস্তার উপরে পুজো হচ্ছে। তাই উদ্যোক্তারা পুজো অন্যত্র সরাতে নারাজ। এছাড়া বিকল্প জায়গারও সমস্যা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে ও ট্র্যাফিক পুলিশের সহায়তায় যান চলাচল মসৃণ রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে”।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, পুজো কমিটিগুলিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক পরা সহ যাবতীয় করোনা বিধিনিষেধ যাতে পালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
দমদম রোডে ‘আমরা মিলেছি’ এবং ‘বর্ণপরিচয়’ নামে দু’টি পুজো হয়। এই দু’টি পুজোর সঙ্গে জড়িত দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি রাস্তা আটকে পুজো করার পক্ষে নই। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই দু’টি পুজো এখানেই হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা স্থান পরিবর্তনে নারাজ। সাথে বিকল্প জায়গারও অভাব রয়েছে’’।
দমদম রোডের অপর একটি পুজোর পুরকর্তা রাজু সেনশর্মা বলেছেন, “যদিও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সিঁথি মিলিটারি ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার উপর থেকে একটি পুজোকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে”।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর জানিয়েছেন, ‘‘যেখানে বিকল্প জায়গা মিলেছে ও স্থানীয় স্তরে বোঝানো সম্ভব হয়েছে সেখানে সেখানে একমাত্র পুজো সরানো হয়েছে’’।