মালদার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার সাংসদ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদার উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ক্ষোভের রতুয়ার ভাঙন এলাকায় ঢুকতেই এলাকাবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। খগেন মুর্মুকে সামনে পেয়েই এলাকাবাসীরা ঘিরে ধরে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। আর ভাঙন থেকে স্থায়ী নিষ্পত্তির দাবী জানান। তবে ভাঙনের কথা উঠতেই বিজেপি সাংসদ রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগ তুলে জানান, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ডিপিআর তৈরী করে না দেওয়ার জেরেই কেন্দ্রীয় তহবিল আটকে রয়েছে।’’

রবিবার ছুটির দিনে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে ভাঙন পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ। বছর বছর ধরেই এই ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি অঞ্চলে একাধিক গ্রাম জর্জরিত হয়েছে ভাঙন সমস্যা। দিনের পর দিন ধীরে ধীরে নিজের গতিপথ পরিবর্তন করছে সেখান দিয়ে একত্রে বয়ে যাওয়া গঙ্গা-ফুলহর ও কোশি নদী। আর এই তিনের ত্রিফলা আক্রমণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে স্থানীয়দের। বছর আসে বছর যায়। ভাঙন প্রতিরোধে কখনও সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও বা স্থানীয়দেরই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ত্রাণ শিবিরে। কিন্তু ভাঙন সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। এই বছরও একই হাল

ব্যাপক ভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে বিলাইমারি অঞ্চলের পশ্চিম রতনপুর এবং মহানন্দটোলা অঞ্চলের কান্তুটোলায়, শ্রীকান্তটোলা, মুলিরামটোলা, জিতুটোলায়। আতঙ্কে গ্রামছাড়া অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সেখানে পরিদর্শনে যান সাংসদ। পড়েন বিক্ষোভের মুখে। চলে স্লোগান। কেউ কেউ আবার বলেন, ‘সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না, কেন পদে রয়েছেন। আসবেন না। আমরা টাকা দিতাম। বানাতেন।’ তবে এই ক্ষোভকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই দাবি করেছেন সাংসদ।


তাঁর কথায়, ‘ক্ষোভ দেখানে স্বাভাবিক। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আগে এটা দশ কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু আজ তা মহানন্দটোলা গ্রামে ঢুকে পড়েছে। আমি যখন জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম, তখনও এখানে এসেছি। আর যখন সাংসদ হলাম, সেই সময় থেকেই আমি বারবার বলে আসছি, যে পদক্ষেপ করা উচিত, তা করা হচ্ছে না। কেন্দ্রের কাছেও আর্জি জানিয়েছি।’ এরপরেই রাজ্যকে দুষে তাঁর সংযোজন, ‘রাজ্য যতক্ষণ পর্যন্ত ডিপিআর তৈরি না করবে। কীভাবে ভাঙন রোধ হবে, সেই প্রস্তাব যতক্ষণ না কেন্দ্রকে দেবে। ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে অনুদান দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে, সেচ মন্ত্রীকেও জানিয়েছি। কিন্তু তাদের তরফ থেকে কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি।’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930