নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জম্মু-কাশ্মীরঃ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার সেই বিস্ফোরক থেকেই গতকাল রাতেরবেলা জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় গোটা পুলিশ স্টেশন উড়ে গেল। এই বিস্ফোরণে প্রায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশী ছিল যে দেহাংশগুলি তিনশো ফুট দূরে ছিটকে যায়।

জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে নওগাম পুলিশ স্টেশনে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাই ফরিদাবাদ থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল সেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এই পুলিশ স্টেশনে এনে রাখা হয়েছিল। আর এদিন যখন পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম এই বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন, তখনই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশী ছিল যে সিসিটিভি ফুটেজে আশেপাশের বিল্ডিংগুলিকে কেঁপে উঠতে দেখা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে চারিদিক কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই আরো পুলিশ, দমকল এবং অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসে।

এরপর আহত কুড়ি জন উদ্ধার করে উজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আট জনকে এসএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেহগুলি শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরকের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ফরেন্সিক ল্যাবে আগেই পাঠিয়েছিল, তবে বড়ো অংশই পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের প্রথম অনুমান, যখন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সিল করা হচ্ছিল, সেখান থেকে কোনো কারণে বিস্ফোরণ হয়। দ্বিতীয়ত, এটাও সন্ত্রাসবাদী হামলা। বাজেয়াপ্ত করা একটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরক লাগানো ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ইতিমধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন প্যাফ দায় স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। বিস্ফোরণের পরই গোটা চত্বর সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্নিফার ডগও আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ফরিদাবাদের ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে এই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। মুজাম্মিল শাকিল আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিল। তার সাথে আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত ডঃ উমর নবির ও ডঃ শাহিন শাহিদের যোগাযোগ ছিল। সকলেই জইশের হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের সদস্য বলে অনুমান করা হচ্ছে।










