সব্যসাচী মজুমদারঃ জলপাইগুড়িঃ আট মাসের গর্ভবতী স্ত্রী’কে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। ঘটনাটি জানতে পেরেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করলো। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্নাসী মোড়ে।
এদিন পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়ি শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকায় নারায়ন অধিকারীর মেয়ে টুম্পা অধিকারীর সঙ্গে মণ্ডলঘাটের বাসিন্দা হেমন্ত দাসের বিয়ে হয়। হেমন্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। ২০১২ সালে দেখাশোনা করে পণ দিয়ে নারায়ণবাবু মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তাদের ছয় বছরের কন্যা সন্তান আছে। মাঝে মধ্যে হেমন্ত বাড়িতে আসতো। আর এখানে এসেই জুয়ার আসরে সামিল হত। স্ত্রী প্রতিবাদ করাতে প্রতিদিন গর্ভবতী স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত। সোমবার গভীর রাতে টুম্পাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এছাড়া হাতের আঙুলও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শেষমেশ স্ত্রীকে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে খুন করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=ElM7E_sHyOk
গভীর রাতে অভিযুক্ত স্বামী হেমন্ত দাস মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে”।
মৃতার ভাই গোপাল অধিকারী বলেছেন, “আমার দিদিকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক”।