নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ গতকাল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার রামেশ্বরকুঁড়ে গ্রামে স্বামী তার স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বাড়ি লাগোয়া গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতরা হলো ২৭ বছর বয়সী রেণুকা বাগদি ও ৩৫ বছর বয়সী অসিত বাগদি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেণুকা এবং অসিত দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। ওই দম্পতির মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হত। গতকাল দীর্ঘ ক্ষণ ধরে অসিতের ছয় মাসের ছেলের প্রবল কান্না শুনতে পেয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়।
এরপর অসিতের বাড়ির দরজা খুলতেই দেখা যায়, ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এর মাঝে রেণুকা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর অসিতের খোঁজ শুরু করতেই দেখা যায়, অসিতের দেহ বাড়ি লাগোয়া একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
পাত্রসায়র থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
রেণুকার বৌদি সুমনা মাঝি বলেন, ‘‘আমার ননদকে তার স্বামী প্রায়শই মারধর করত। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এর আগেও একবার আমার ননদের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেছিল। সে যাত্রায় আমরা কোনো রকমে ননদকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার আর পারলাম না। ওদের ছেলে দুটো অনাথ হয়ে গেল।’’