নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরাখণ্ডঃ এবার উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর দেরাদুনে ঘটলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে স্ত্রী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিজের স্বামীকে খুন করলো।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, প্রেমিকের জন্য স্ত্রী তার স্বামীকে খুন করলো। আর এই খুনে বিবাহিত প্রেমিকাকে তার প্রেমিক সম্পূর্ণ সাহায্য করলো। এই ঘটনায় মৃতের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীর নাম বিজয়লক্ষ্মী। বয়স ৩৫ বছর। স্বামীর নাম পঙ্কজ ভাট। বয়স ৪৩ বছর। প্রেমিকের নাম দীপক। বয়স ২৫ বছর। পেশায় জিম ট্রেনার। পুলিশ এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রায়পুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ দিলবার সিং নেগি বলেন, “বিজয়লক্ষ্মীর দেওয়া অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েই পঙ্কজ ভাট মারা যান”।
গত ২৮ শে মে পঙ্কজের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হলেও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতদেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দেওয়ার পর জানা যায় যে পঙ্কজ অত্যাধিক ঘুমের ওষুধ খেয়েই মারা গিয়েছেন।
পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারা যায় যে, বিজয়লক্ষ্মীর জিম ট্রেনার দীপকের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। এরপর বিজয়লক্ষ্মীর ও তার প্রেমিক দীপক দু’জনে মিলিতভাবে খুনের ছক কষে ঘুমের ওষুধ কেনে। তারপর পরিকল্পনামাফিক বিজয়লক্ষ্মী দীপককে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খুন করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঙ্কজের পরিবারে শকের ছায়া নেমে এসেছে।