নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ স্বস্তির বৃষ্টি এনে দিল ঘোর বিপদ। বাজ পড়ে জেলায় একই দিনে মৃত্যু হল তিন জনের। আহত হয়েছেন এক জন। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল আট জনের। অন্য দিকে, কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড দশা বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার। গাছ সহ বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাঢ়বঙ্গে। চড়া রোদ, প্রবল গরম এবং বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করেছিলেন সবাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রত্যাশার বৃষ্টি মিললেও অপ্রত্যাশিত ভাবে অকালে তিনটি প্রাণ গেল বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া সদর থানার আঁকুড়াবাইদ গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় পূর্ণিমা বাউড়ি নামে ৪২ বছরের এক বধূর। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, বৃষ্টির মধ্যে উঠোনে বেঁধে রাখা গরুগুলোকে গোয়ালে আনার জন্য বেরিয়েছিলেন। তখনই বজ্রাঘাতে উঠোনেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃপ্তি সরকারের (৬১)। তিনি পুকুরে স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। জখম তৃপ্তিকে উদ্ধার করে মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাঁকুড়ার জয়পুরে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলে ঝড়বৃষ্টির মাঝেই বাঁকুড়ার জয়পুর থানার জুজুড় গ্রাম লাগোয়া এলাকায় সরকারি জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। সেখানে একটি বজ্রপাতে দুই শ্রমিক আহত হন। স্থানীয়েরা তাঁদের জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে জনি শেখ (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অপর জনের চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিতলা গ্রামে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here