অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্য সরকারের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাজ্যের বীরভূম-সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। আর অশ্লেষ বিরাদার রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন।
আজ আইনজীবী রঞ্জিতকুমার বছাইত সওয়াল করে জানান, “রাজ্য কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে অবধি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ ভয়েস কল ও এসএমএসের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিন্তু যেক্ষেত্রে পরিক্ষার্থীরা কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করবে না সেক্ষেত্রে শুধু বীরভূম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে জরুরী পরিষেবা ব্যাহত হবে। বর্তমান পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে ইন্টারনেট বন্ধ করা মানে মানুষের বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা।”
তবে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ‘ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট অনুযায়ী জনসাধারণের প্রয়োজন ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এই অবস্থায় জেলাশাসক এবং স্বরাষ্ট্রসচীব পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাও ওই জেলাগুলির কয়েকটি ব্লকে সাময়িক সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামীকাল রাজ্য এই বিষয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন। তার প্রেক্ষিতেই দুপুরবেলা ২ টোর মধ্যে রাজ্যকে নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কারণ জানিয়ে হলফনামা দিতে হবে।