নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দিল্লির বায়ুদূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কিন্তু দিল্লির সরকার মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই বায়ু দূষণের মোকাবিলায় বড়ো পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এখন থেকে দিল্লির সরকারী-বেসরকারী অফিসের পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। এছাড়া বলা হয়েছে, যে অফিস বা সংস্থা এই নিয়ম মানবে না তাদের মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হবে। মূলত রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে ধুলো ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার দিল্লির বাতাসের অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিন সকালে দূষণের মাত্রা বা AQI রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৯৮, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। আর দৃশ্যমানতা এতটাই কমে গিয়েছিল, যে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে পথ দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার কারণে বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং কয়েক শো ফ্লাইটের সময় সূচীও পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে দিল্লি প্রশাসনকে পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ‘গ্র্যাপ-৪’ জারি করতে হয়।

এর জেরে দিল্লির দূষণ রুখতে সব ধরণের নির্মাণ কাজ বা কনস্ট্রাকশন বন্ধ রাখা হয়। তবে দৈনিক শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে যে সমস্ত নির্মাণ শ্রমিকের নাম সরকারী তালিকায় নথিবদ্ধ রয়েছে, তাদের মাথা পিছু দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজধানী এবং তার পার্শ্ববর্তী শহর নয়ডা, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে বিএস-ফোর এর নীচে সমস্ত পুরোনো গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যেসব গাড়ির কাছে বৈধ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট নেই, তাদের পেট্রোল পাম্প থেকে তেল দেওয়া হবে না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









