অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সকাল থেকে বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা। দুপুর গড়াতেই শুরু হল তীব্র যানজট। মা উড়ালপুলে যানবাহন প্রায় থমকে রয়েছে। সেই যানজট ছড়িয়ে পড়েছে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট হয়ে গড়িয়াহাট, গোলপার্ক, সেলিমপুর পর্যন্ত। অন্য দিকে, দক্ষিণমুখী বাইপাসের রাস্তাতেও বিঘ্নিত যান চলাচল। দুপুর থেকে শুরু হওয়া যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছে স্কুল, কলেজফেরত পড়ুয়ারা। সেক্টর ফাইভ, নিউটাউনের পাশাপাশি পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেডে অফিস সেরে যাঁরা দক্ষিণ কলকাতায় বাড়িতে ফিরছেন, তাঁদের দুর্ভোগও চরমে উঠেছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর কলকাতায় এখনও বড় যানজটের খবর মেলেনি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মা উড়ালপুলে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। একচুলও নড়েনি। সেই কারণে বাইপাসের দক্ষিণমুখী রাস্তায় যেমন যানজট তৈরি হয়েছে, তেমনই পার্ক সার্কাস থেকে প্রায় সেলিমপুর পর্যন্ত রাস্তায় থমকে রয়েছে যান চলাচল। অন্য দিকে, নবান্ন থেকে শহরে প্রবেশস্থল, এজেসি বোস রোড উড়ালপুলের মুখেও তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থিয়েটার রোড, আমির আলি অ্যাভিনিউ (উত্তর ও দক্ষিণ), সোহরাবর্দি অ্যাভিনিউ হয়ে ডন বস্কো আইল্যান্ড, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট থেকে গড়িয়াহাট, গোলপার্ক, পঞ্চাননতলায় বিঘ্নিত যান চলাচল। ওই সব রাস্তার কোথাও হাঁটুর নীচ পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। কোথাও গোড়ালিভেজা জল। সেই কারণে থমকে চলছে গাড়ি। সন্ধ্যা গড়াতে আড়েবহরে বেড়েছে যানজট। সায়েন্স সিটি থেকে দক্ষিণমুখী বাইপাসেও তীব্র যানজট।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছে স্কুল, কলেজ ফেরত পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রী। পার্ক সার্কাস থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত বেশ কিছু স্কুল রয়েছে। দুপুরের পর থেকে স্কুলগুলি এক এক করে ছুটি হতে শুরু করে। কিন্তু যানজটের কারণে স্কুলবাস এগোতে পারেনি। ক্রমে যানজট আরও তীব্র হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফিরতে পারেনি স্কুল পড়ুয়ারা। তত ক্ষণে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন অফিসফেরত লোকজন। তাঁরা আরও বিপাকে পড়েন। একেই বৃষ্টি, বৃষ্টি কমলে ভ্যাপসা গরম, তার জেরে ভিড় বাসে, শাট্ল গাড়িতে অস্বস্তি ক্রমেই বাড়তে থাকে নিত্যযাত্রীদের। আলিপুর হাওয়া অফিস শনিবার পর্যন্ত শহরে ঝড়বৃষ্টি সতর্কতা জারি করেছে। ফলে এই নাজেহাল অবস্থা এখনই শেষ হচ্ছে না বলেই আশঙ্কা নিত্যযাত্রীদের।