স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ ভোটের পর বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে বাম হাতের দুটো আঙ্গুল বাদ গেল তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ নদীয়ার ভীমপুর থানার আসাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাইকুরা ঢাকুরিয়াপোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পোলিং এজেন্টের নাম কনক বিশ্বাস। কনক বিশ্বাসের ওই গ্রামেই বাড়ি। তার স্ত্রী চায়না বিশ্বাস ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। কনক বিশ্বাস ২১৪ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট ছিলেন।ভোট শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা নাগাদ কনক বিশ্বাস বুথ থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা একটি মাঠের মধ্যে বিচালির গাদার পেছনে লুকিয়ে ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=f7iMm7t2woQ
তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, “বিচালির গাদার পেছনে লুকিয়ে থাকা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তখন কনক বিশ্বাস কোনোরকমে মাথাটা সরিয়ে নিতে পারলেও হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করায় সেই কোপ বাম হাতে লাগে। এরপর দুটি আঙুল কেটে নীচে পড়ে যায়। তারপরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here“কনক বিশ্বাসের চিৎকার শুনে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ছুটে এসে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হেরে যাওয়ার ভয়েই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। এছাড়া প্রভাত মন্ডল নামে আমাদের আরো একজন সদস্যকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাই প্রভাত মন্ডল ভয়ে একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস”।
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।