মহম্মদ খালিদঃ বিহারঃ গতবছর লকডাউনে ১৪ বছরের জ্যোতি কুমারীর ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙায় বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার করুণ কাহিনী আজও মনকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। জ্যোতির এই দুঃসাহসিক কাজ ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছিল। এছাড়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পও তার সফরটিকে ‘সহনশীলতার সুন্দর কীর্তি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
কিন্তু এই বছর দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত অসুস্থ থাকা বাবাকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হলো না। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষমেশ মৃত্যু হলো মোহন পাসওয়ানের।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, জ্যোতির বাবা মোহন পাসওয়ান পেশায় গুরুগ্রামের রিক্সা চালক ছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো বাস-ট্রেন না থাকায় বাধ্য হয়ে জ্যোতি এই ধরনের দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেয়। গত বছরের ৭ ই মে জ্যোতি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ১৬ ই মে বাড়িতে পৌঁছায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএই ঘটনায় জ্যোতি সাইকেলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ট্রায়ালের প্রস্তাব পায় তবে জ্যোতি পড়াশোনার জন্য যেতে চায়নি। এর পাশাপাশি বিহারের নামী কোচিং প্রতিষ্ঠান সুপার ৩০ র প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ কুমার তাকে আইআইটি-জেইই পরীক্ষায় বসার ফ্রি কোচিংয়ের অফার দেন। বিহারের লোক জনশক্তি পার্টিও জ্যোতির পছন্দের যেকোনো শাখায় পড়াশোনার আর্থিক দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এমনকি সমাজবাদী পার্টিও জ্যোতির পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিতে এগিয়ে আসে।