সম্পত্তির লোভে বোনের হাতে খুন হলো দাদা
স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ সম্পত্তির লোভে ষড়যন্ত্র করে নিজের দাদাকে খুন করানোর অভিযোগে বোনকে গ্রেপ্তার করলো নদীয়ার তাহের থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ ই মে নিজের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে ৩৬ বছর বয়সী সমিত ভট্টাচার্য্য খুন হন। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ বিভিন্ন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সমীতবাবুর বোন সাথী ভট্টাচার্য্যের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
এরপর পুলিশ সাথীর বর্তমান প্রেমিক ভজন মিত্র নামের এক যুবককে খুনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ভজন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সাথী সম্পত্তির জন্যই দাদাকে খুন করিয়েছে।
পুলিশ তদন্তে নামার পরেই সাথীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত আছে তা জানতে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। পুলিশ অভিযুক্তদের পুলিশী হেফাজতে নিয়েছে।
তারপর রানাঘাট জেলা পুলিশ অ্যাডিশনাল এসপি রূপান্তর সেনগুপ্ত সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “সাথী নিজেই অভিযোগকারী আর মুল অভিযুক্ত। আসল বাড়ি ভদ্রেশ্বর। মা-বাবা কেউ নেই শুধু দাদাই ছিল। তার প্রচুর সম্পত্তি ছিল। সাথী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন।
ইদানিং প্রচুর দেনায় দায়ে পড়ে গিয়েছিলেন বলে সেই কারণে সাথী ভজনকে দাদার বাড়িতে ডেকে এনে পরিকল্পনা মাফিক খুন করেছে। সাথী ভেবেছিলেন দাদাকে মেরে ফেললে আর তো কেউ সম্পত্তি নিতে আসবে না সব কিছুই নিজেই পেয়ে যাবে। কিন্তু শেষমেষ সাথীর পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন”।
পুলিশ খুন করা সেই ধারলো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আজ সাথী ও ভজনকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমগ্র এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।