নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ গত প্রায় পাঁচ দিন থেকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশহরে ১২ বছরের এক কিশোরীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যাবেলা ওই গ্রামেরই একজন বাসিন্দার বাড়ির অদূরে মাটি খুঁড়ে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৫ শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যাবেলা কিশোরীটি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঠে কাজ করছিল। কাজ করতে করতে সে তৃষ্ণার্ত বোধ করায় প্রতিবেশী হরেন্দ্রর বাড়িতে জল চাইতে যায়। কিন্তু ওই কিশোরীটি জল খেতে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরেও কাজে না ফেরায় তার বোনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার খোঁজ করেও কোনো সাড়া না মেলায় তারা ভেবেছিল যে কিশোরী হয়তো বাড়ি ফিরে গিয়েছে। তাই তারা আবার কাজে ফিরে যায়।
তবে বাড়ি ফিরেও সন্ধ্যাবেলা কিশোরীটিকে না পাওয়ায় তারা ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় একটি লোককে দেখে কিন্তু ওই কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে চার-পাঁচ দিন ধরে তার সন্ধান চালিয়ে পরিবারটি পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
বুলান্দ শহর পুলিশ প্রধান সন্তোষ কুমার সিং বলেন যে, “গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে তার মেয়েকে হরেন্দ্র নামে এক যুবক অপহরণ করেছে”।
এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। তখন দেখা যায় তার বাড়ির মধ্যে একটা জায়গায় সদ্য খোঁড়া মাটির গর্ত রয়েছে। সেখান থেকেই ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ অভিযুক্তকে হিমাচল প্রদেশের সিমলা থেকে আটক করেছে। ধৃতের নাম হরেন্দ্র। বয়স ২২। সে দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করত। তবে ঘটনার দিন সে বাড়িতেই ছিল। অভিযুক্তের বাবাকেও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত জেরায় স্বীকার করেছে যে, ওই কিশোরী তার বাড়িতে জল খেতে এসেছিল। তখনই সে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি সাহায্যের জন্য চিত্কার করায় সে তাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেয়।
এভাবে বার বার যোগী রাজ্যে মেয়েদের নির্যাতিত হওয়াকে ঘিরে শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠছে।