নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের মেমারী এক নম্বর ব্লকের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সুবিধাপ্রাপকদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। আর এই আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অভিযোগ উঠছে। কোথাও পাকাবাড়ি থেকেও আবাসের টাকা পেয়েছেন কেউ। কোথাও উঠছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ। এবার কাটমানি না দেওয়ায় এক প্রাপকের নির্মীয়মাণ ঘরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীর বিরুদ্ধে।
এবার ওই ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতারামবাটি গ্রামের খাস পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফুলন বিবি শেখ। তাঁর অভিযোগ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ের টাকা পেয়েছেন তিনি। তারপরই দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চান। তিনি টাকা দিতে রাজি হননি। তখন পুকুর বুজিয়ে বাড়ি করছেন বলে নোটিশ পাঠিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে হুমকি দেন পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত প্রধানের এক অনুগামী। তাঁর নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ ভেঙে দেন বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই তিনি বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, সীতারামবাটি গ্রামে খাস পাড়ায় আরও দু’জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পেয়েছেন। তাঁরাও পুকুরের পাড়েই বাড়ি তৈরি করছেন কিন্তু তাঁদের কোনওরকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। দশ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই তাঁদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
যদিও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক সরকারের দাবি, তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছেন। তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। টাকা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে জায়গাতে বাড়ি ছিল, তার থেকেও কিছুটা পুকুর বুজিয়ে জায়গা দখল করে বাড়ি করছিলেন ফুলন বিবি শেখ। পুকুর বুজিয়ে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা তাঁর কাছে একটি অভিযোগ জানায়। তাই তিনি পরিদর্শনে যান এবং পুকুর না বুজিয়ে আগে যে জায়গাতে বাড়ি ছিল, সেখানেই বাড়ি করার কথা বলেন। কিন্তু কোনও কথা শোনেননি, তাই তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে।