নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আজ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) দল পৌঁছেছে। মনীশ সিসোদিয়া নিজেই টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া দিল্লি ও আশেপাশের এলাকায় ২০ টিরও বেশী জায়গায় তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
দিল্লির আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘সিবিআই এখানে আমার বাসভবনে রয়েছে। আমি তদন্ত সংস্থাকে সহযোগীতা করব, তারা আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাবে না। আর এটা দুর্ভাগ্যজনক যে যারা দেশে ভালো কাজ করেন তাদের এভাবে হয়রান করা হয়।
এই কারণে আমাদের দেশ এক নম্বর হতে পারল না। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে আমার কাজ বন্ধ করতে পারবে না। সত্য বেরিয়ে আসবে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি দলের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, ‘‘যে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এর আগের অনুসন্ধানের সময় কিছুই খুঁজে পাননি এবারও কিছুই খুঁজে পাবেন না।’’
গত বছরের নভেম্বর মাসে এলজি ভি কে সাক্সেনার দিল্লির আবগারি নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে যে এফআইআর হয়েছে, তার ভিত্তিতে এই অভিযান। এলজি দিল্লি সরকারের মুখ্যসচীবের কাছে এই নীতি বাস্তবায়নে কর্মকর্তা এবং সাধারণ কর্মচারীদের ভূমিকার তদন্ত করতে বলে এই বিষয় রিপোর্ট চেয়েছেন।
পুরনো আবগারি নিয়মে সরকার ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করত। কিন্তু নতুন আবগারি নীতির মাধ্যমে সরকার সারা বছরে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। আপের দাবী, বিজেপি সিবিআই ও ইডির মাধ্যমে লাইসেন্সধারী এবং আবগারি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছে।
বিজেপির হুমকির জন্য মদের দোকানের মালিকরা ৮৫০ টি মদের দোকানের মধ্যে মাত্র ৪৬৮ টি দোকান খুলতে পেরেছিলেন। এর জেরে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মনীশ সিসোদিয়া কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের দুর্দান্ত কাজের কারণে এই লোকেরা সমস্যায় পড়েছেন এবং সেই কারণেই উভয় বিভাগের মন্ত্রীদের আক্রমণ করা হয়েছে। আদালতে সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’’