পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দু’দিন বান্ধবী পাশে বসেই পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর পরীক্ষা দিতে আসছিল না। আর তাতেই সহপাঠীর সন্দেহ হতে সে প্রথমে বাড়িতে খোঁজ করতে যায়। তারপর ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এরপর সহপাঠীর খোঁজ খবরের সূত্র ধরেই ছ’দিন পর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ কবর খুঁড়ে বার করা হয়। মৃতার পরিবারের দাবী, “প্রেম দিবসের দিন ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছিল।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর চণ্ডীহাট গ্রামের বাসিন্দা হান্নান হাজরার মেয়ে পারভিনা কারবালা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। আর কচুয়া হাইস্কুলে সিট পড়েছিল। সেখান থেকে বাংলা ও ইংরেজী পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে পরের দিন থেকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় পাশের সহপাঠীর সন্দেহ হওয়ায় পারভিনার বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়েছিল। তখন জানতে পারে, গত শুক্রবার বিকেলবেলা সে নিজের ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এরপর ওই সহপাঠী ফিরে এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায়। এমনকি থানাতেও খবর দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে পারভিনার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, “পারভিনার পরিবারের কারোর সাথে কোনো অশান্তি হয়নি। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হলে কাঁটাছেড়া হবে তাই কাউকে না জানিয়ে দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়।” কিন্তু পারভিনা আত্মঘাতী হয়েছে কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। উত্তর কাশীপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here