নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পর নদীয়ার কৃষ্ণনগর রেল স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে একটি ড্রেনের ভিতর থেকে উদ্ধার এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মৃতার বয়স ১৯ বছর। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। তবে বর্তমানে পরিবার বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকায় থাকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে ওই ছাত্রী কৃষ্ণনগরের বিপ্রদাশ পাল চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া ছিল। কলেজের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। কিন্তু সম্প্রতি কলেজের ক্যান্টিনে রান্না না হওয়ায় পড়ুয়াদের বাইরের খাবার কিনে খেতে হত। সোমবার ওই ছাত্রীও খাবার কিনতেই কলেজের হস্টেল থেকে বের হয়।
এরপর ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে ফোন করলে ওই ছাত্রীর এক জন বান্ধবী ফোন ধরে জানায় যে সে হস্টেলে নেই। তারপর দীর্ঘক্ষণ ওই ছাত্রী না ফেরায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীরা খোঁজ শুরু করে৷ তবে খোঁজ না পাওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দিলে যথারীতি পরিবারের সদস্যরাও এসে পৌঁছান। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা তার দেহ কৃষ্ণনগর রেল স্টেশন এলাকায় একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রীর বাবার দাবী, “মেয়েকে খুন করে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।” কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। তবে যে এলাকায় দেহ উদ্ধার হয়েছে তা কলেজ থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আপাতত কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।