নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হায়দ্রাবাদঃ হায়দ্রাবাদে সর্বভারতীয় ডাক্তারী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুইমিং পুলের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক দলিত ছাত্রীর দেহ। মৃতার নাম পেনুমালা বিদ্যা প্রিয়ঙ্কা। বয়স ১৮ বছর৷
পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠেছে যে, পেনুমালা বিদ্যা প্রিয়ঙ্কা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্টের (এনইইএটি) জন্য প্রস্তুতি নিতে হায়দ্রাবাদের একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু সেখানে জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছে। সহপাঠীরা নীচু জাত বলে খোঁচা দিত। আর এই সহপাঠীরাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এর আগেও নানা ভাবে হেনস্থা করেছে৷
মৃতার বাবা পেনুমালা প্রভাকর রাওয়ের অভিযোগ, ‘‘পেনুমালা বিদ্যা প্রিয়ঙ্কা খুব ভেঙে পড়ায় মনের জোর বাড়ানোর জন্য প্রায়শই ফোনে কথা হত। সোমবার রাতেরবেলাও কথা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এই হেনস্থা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি।’’
পেনুমালা বিদ্যা প্রিয়ঙ্কার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখেছে, ‘মানসিক চাপে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।’ পুলিশ তদন্তে নেমে ওই চিঠিটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। এর পাশাপাশি সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।