পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরের মথুরাপুরে এক দম্পতির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মহিলার দেহ খাটে পড়েছিল। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল। আর স্বামীর দেহ সিলিং থেকে ঝুলছে। মৃতরা হলো শশধর ও তার স্ত্রী পায়েল। বাড়ি কুলপি থানা এলাকায়। শশধর ট্রেনে হকারি করেন। মাস কয়েক আগে মথুরাপুরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালবেলা থেকে শশধর এবং পায়েলের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাদের আড়াই বছরের শিশু কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে আসতেই প্রতিবেশীদের অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয়। আর তারা ঘরে ঢুকে শশধরকে ঝুলন্ত অবস্থায় ও পায়েলের দেহ বিছানার উপর নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশাপাশি পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ দু’টি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শশধর বাড়িতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে প্রথমে পায়েলকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়া বাড়িতে থাকা নিয়েই শশধর এবং পায়েলের মধ্যে কোনো অশান্তি হয়ে থাকতে পারে। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখে গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের কথায়, কথায়, ‘‘দু’জনেই খুব মিশুকে ছিল। সকলের সাথে কথা বলত। কি ঘটল, বুঝতে পারছি না।’’