নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ প্রার্থী বাছাই অভিযানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত। গতকাল বিকেলবেলা থেকে রাতেরবেলা অবধি কোচবিহারের মাথাভাঙা সহ নানা জায়গায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় মারামারি, ধাক্কাধাক্কিতে জড়ালেন। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই মাসের কর্মসূচী আছে। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কোচবিহার থেকে ওই কর্মসূচী শুরু হয়েছে। জনসংযোগ যাত্রার শুরুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘ভালো মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। সন্ত্রাসবিহীন ভোট করতে হলে ভালো প্রার্থী চাই।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মানুষকেই নেতা বেছে নেওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে। মানুষের মত জানার পরই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করা হবে।’’ আর এদিন তিনি মাথাভাঙায় সভা করেন। এরপর প্রার্থী বাছাই অভিযান শুরু হতেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। রাতেরবেলা পর্যন্ত মাথাভাঙা কলেজ গ্রাউন্ড ক্যাম্পে গোপন ব্যালটের ভোটে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। ব্যালট বাক্স আটকে রাখার অভিযোগ করা হয়। দেখা যায়, এক জন তৃণমূল কর্মী ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন। আর ব্যালট বাক্সও ভেঙে ফেলার কারণে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালট বাক্স ভাঙার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অত্যুৎসাহীরা ভোট দিতে গিয়েই ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলছেন। তবে যদি কেউ ভাবেন, গায়ের জোরে ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে প্রার্থী হবেন, তাহলে তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এই কারণেই তৃণমূলের নবজোয়ার শুরু করেছি।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মসূচীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় কটাক্ষ করে বলেছেন,‘‘ভাইপো পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ব্যালট বাক্স নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটা ওঁর দলের লোকেরাই উল্টে দিয়েছে। এ থেকেই পরিষ্কার যে দলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তাহলে রাজ্যে গণতন্ত্র থাকবে কিভাবে?’’