অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ খোদ বাংলাতেই বাঙালি বলে কারখানা থেকে বের করে দিল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাবে কারখানায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সন্দেশখালির শিরিষতলা এলাকায়। এলাকায় কয়েকশো পরিবার দিন আনা দিন খাওয়া। গ্রামের মধ্যেই কারখানায় কাজ পেলে, তাঁদের অন্ন সংস্থান নিয়ে সমস্যা ছিল না। কিন্তু গ্রামের মধ্যেই কারখানা খুলে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিক বাংলায় এনে কাজ করানোর প্রতিবাদে সরব তাঁরা।
শিরিষতলা এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ বাড়ুই , সনজিৎ মন্ডল-সহ মোট পাঁচজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গরের একটি জুতোর কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁরা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বাঙালি কাজ করতেন ওই কোম্পানিতে। কিন্তু হঠাৎ গত শুক্রবার দিন কোম্পানির ম্যানেজার এসে বলেন তাঁদের আর কাজ করতে হবে না । শ্রমিকদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বলেন, তাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা বাঙালি, তাই তাঁদের এখানে কাজের সুযোগ নেই।
এরপর তাঁদের কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কারখানার থেকে বেরোনোর পর ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরা কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান । কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাতে বিশেষ আমল দেননি। শ্রমিকদের কাজ চলে যাওয়ায় এই মুহূর্তে তাঁদের পরিবার রীতিমতো অসহায় । সন্দেশখালির প্রত্যন্ত এইসব এলাকায় এমনি কোন কর্মসংস্থান নেই । তাই এখানকার মানুষ দূরদূরান্তে কাজ করতে যায় । কিন্তু সেখানেও এইরকম ঘটনা ঘটায় তারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কাজ হারানো শ্রমিক গৌরাঙ্গ বাড়ুই বলেন, “আমাদের প্রত্যন্ত গ্রাম। এখানে কাজের সুযোগ কোথায়? এখান থেকেই ভাঙ্গড়ে কাজ করতে যেতাম। হঠাৎ এই কথা। বাংলা ভাষাতে কথা বলার জন্যই এই ঘটনা।” উল্লেখ্য, বাঙালি আবেগকে সামনে রেখে এখন এমনিতেই পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই এই ইস্যুতে বাঁধা তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে ফেলে সেনা। তা নিয়ে এমনিতেই এখন তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আজ, মঙ্গববার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন।