পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ করোনা পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সের বাড়বাড়ন্ত সীমাহীন। অ্যাম্বুলেন্সের বেলাগাম ভাড়া বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির অন্তর্গত চকমানিক গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সের এক অমানবিক চিত্র দেখা গেল। যেখানে দেখা গেল অ্যাম্বুলেন্সের চালক বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে চলে গেল। কয়েকঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ সত্কার করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereজানা যায়, গতকাল বিকেলে এলাকার বাসিন্দা অভিজিত্ রায়ের আচমকা হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়। অনেক হয়রানির পর অভিজিৎ এর মা ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। এরপর অভিজিৎকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা দাবী করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মা’র অনুরোধে অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃ্তদেহ গাড়িতে তুলতে রাজি হয়ে হাসপাতাল থেকে রওনা দিলেও মাঝপথেই মৃতদেহ ফেলে চলে যান। এরপরেই অভিজিৎ এর মা ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য রাস্তায় বসেই কাকুতি-মিনতি শুরু করলে স্থানীয় মানুষ ঘটনাটি লক্ষ্য করে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে খবর দিলে তিনি আসেন।
বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে আসেন। অতঃপর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিপিই পরে তার দেহ শববাহী গাড়িতে বজবজ কালীবাড়ি চিত্রগঞ্জের উদ্দেশ্যে তুলে দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএই প্রসঙ্গে বুচান বলেছেন, ”অসাধু এই অ্যাম্বুলেন্স চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী”।