মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ সাতসকালে আবাসনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। টিটাগড়ের সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত কাউন্সিলরের নাম মহম্মদ রিয়াজউদ্দিন ওরফে আরমান মণ্ডল। বাকি দুই ধৃতের নাম আরশাদ খান ও মহম্মদ শাহরুখ।
সোমবার সকালে টিটাগড় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই আবাসন ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। চারতলার একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে দেওয়ালের একাংশ উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের ঝুপড়ির বাড়িগুলিও।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereওই আবাসনের তিনতলায় থাকেন কাউন্সিলর আরমান মণ্ডল। বাড়িটির প্রোমোটারের বক্তব্য, চারতলার ওই ফাঁকা ফ্ল্যাটটি ভোটের সময় ব্যবহারের জন্য কাউন্সিলরকে তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ভোটের পরও ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতে থাকেন কাউন্সিলর। প্রোমোটার ফেরত চাইলেও দেননি।
যদিও সকালে প্রোমোটারের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন কাউন্সিলর। আরমান মণ্ডল দাবি করেছিলেন, “আমি লোকজনকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিই, আমি ঘর নিই না। এতদিন অভিযোগ উঠল না, আজই কেন অভিযোগ করছে? মা-বোনদের জিজ্ঞাসা করুন আমার রেকর্ড কী। আমি কেন ঘর নেব। আমার ঘর নেই ওখানে। এটা কমিউনিটি হলের মতো পড়ে থাকত।” উল্টে তিনি দাবি করেছিলেন, “পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। সামনে নির্বাচন রয়েছে, বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করতে পারে।” তবে বিস্ফোরণের পর তৃণমূল এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। আরমান মণ্ডলকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, গুন্ডারাই এখন কাউন্সিলর হয়ে গিয়েছেন। বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন প্রাক্তন এই বিজেপি সাংসদ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকয়েকঘণ্টার মধ্যে আরমান মণ্ডলকে গ্রেফতার করল টিটাগড় থানার পুলিশ। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ওই ফ্ল্যাটে বোমা মজুত করা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।