নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ এমনিতেই পাননি তিন মাসের বেতন। তার উপর পুজোর মধ্যে কাজ হারিয়েছেন ৩০ জন চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী। যার মধ্যে ৮ জনের বয়স ৬০ বছর হওয়ায় তাঁদের এমনই কাজ চলে গিয়েছে। পুজোর ছুটির আগে বাকি ২২ জনকে ডেকেও কাজে আসতে না করে দেওয়া হয়েছিল। পুজোর ছুটির জন্য সেভাবে আন্দোলন করতে পারেননি। তাই পুজোর ছুটির পর বুধবার অফিস খুলতেই পরিবার নিয়ে অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিহারা অস্থায়ী কর্মীরা।
বুধবার দুপুর থেকে বালুরঘাটে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বকেয়া বেতন ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কাজে পুনর্বহাল না করা হলে আগামী দিনে অফিসের সামনেই তাঁরা আত্মঘাতী হবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অফিস চত্বরে রয়েছে বিশাল পুলিশ। এদিন অস্থায়ী কর্মীদের হয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা। তাঁদের কাজে পুনর্বহাল না করা হলে আগামী দিনে দলগত ভাবেও আরও বড় আন্দোলনে নামবেন বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার পার্থ দে জানিয়েছেন। কাজ চলে যাওয়া প্রত্যেকে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী। এরা মূলত বিভিন্ন পাম্প, জেনারেটর চালানো, গাড়ির ড্রাইভার ও অফিসের কাজ করেন। পুজোর মধ্যে বকেয়া বেতন না পাওয়া ও কাজ চলে যায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুজোর মধ্যে কাউকে একটি সুতো পর্যন্ত কিনে দিতে পারেননি বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। চাকরি যাওয়া কর্মী অশোক অধিকারী বলেন, “আমাদের সংসার কীভাবে চলবে? চাকরি চলে গিয়েছে। তাই আমরা আন্দোলনে নামব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here