চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বিজেপি দপ্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সকলে মিলেই তাপস রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এরপর বিজেপির পতাকা হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে জানান, ‘‘আজ থেকে মোদী পরিবারের সদস্য হলাম। কোনোদিন বিজেপি ছাড়ব না। যত দিন রাজনীতিতে থাকব, এই পরিবারের সদস্য হিসাবে আমার দায়িত্ব পালন করব। বাংলার বুকে যে অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তা ঘোচানোর চেষ্টা করব। আমি দলের প্রতি একশো শতাংশ সৎ থাকব।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তাপসকে দলে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জেলা থেকে সর্বভারতীয় স্তর পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তর কলকাতায় আমাদের দলের সংগঠনে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। আশা করছি, তাপস রায়ের যোগদান সেই প্রয়োজন অনেকটাই মেটাবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসোমবার বিধানসভায় গিয়ে বরানগরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস। বুধবার সেই সংক্রান্ত শুনানি ছিল বিধানসভায়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাপসের ইস্তফায় পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তাই তাঁকে নতুন করে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, বুধবার তাপসের ইস্তফার কাজ ঝুলেই রইল বিধানসভায়। তাঁকে বৃহস্পতিবার আবার ডেকেছেন স্পিকার। তাপস জানিয়েছেন, নতুন করে পদ্ধতি মেনে ইস্তফার চিঠি তিনি দিয়ে আসবেন।
সোমবার তৃণমূল ছাড়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছিলেন তাপস। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। জানান, দলে তিনি অবহেলিত। তাঁর বাড়িতে জানুয়ারি মাসে পুর নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্ত করতে ইডি হানা দিয়েছিল। তার পর থেকে দলের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ। এমনকি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও কোনও সান্ত্বনাবার্তা পাননি তাপস। এর পরেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতাপসের দলত্যাগের প্রসঙ্গে আরও একটি নাম উঠে এসেছে। তিনি কলকাতা উত্তরের বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে তাপসের সম্পর্ক ভাল ছিল না। দলত্যাগের ঘোষণার সময়েই তাপস জানান, তাঁর বাড়িতে ইডি হানার নেপথ্যে সুদীপের হাত রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর, বিজেপি কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে এবার তাপস রায়কে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করতে পারে।