নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ পুরাতন মালদহের মহিষবাথানে এক বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে দু’ হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রেহাই পাননি তার স্ত্রীও। তাকেও মারধর করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর আনা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
জানা যায়, আজ সকালে মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতা তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সে সময় তার উপর হামলা করা হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাকে মারতে মারতে তার জামা প্যান্ট ছিঁড়ে দেয়। হাত-পায়ের উপর লাঠি দিয়ে বেপরোয়া আঘাত করা হয়। এই ঘটনায় তার এক হাত ও দুই পা ভেঙে গেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রীও গুরুতরভাবে আহত হন। তার মুখে মারাত্মকভাবে আঘাত লাগে ফলে দাঁত ভেঙে যায়। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
ওই বিজেপি নেতার ছেলে ২৯ নম্বর জেলা পরিষদের বিজেপি সংখ্যালঘু যুব মোর্চার সভাপতি মোজ্জামেল হক অভিযোগ করেছেন যে, “তৃণমূল নির্বাচন আসতেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে। আমরা বিজেপি করি বলে বারবার আমাদের নিশানা করে। আজ মহিষবাথান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী জাহাঙ্গির আলমের নেতৃত্বে আমার মা-বাবার ওপর হামলা চালানো হলো”।
যদিও সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূলের মুখপাত্র জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “এই ধরনের অভিযোগ সত্যি নয়। তবুও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এছাড়াও তাদের দাবী রাস্তা নিয়ে বিবাদের জেরে গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়েন ওই বিজেপি নেতা”।
মোজ্জামেল হক এই ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত করে দেখছে।