নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ার বেলগাছিয়ায় অসহায় মানুষদের সাথে দেখা করতে গেলে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। শুভেন্দু অধিকারীকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এলাকার ভিতরে ঢুকতে গেলেই পুলিশ ব্যারিকেড করে দেন। তাকে পুলিশকর্মীরা ঘিরে রাখেন। ফলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। আর এই ধাক্কাধাক্কিতে এক জন বিজেপি নেতা পড়ে যান।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করতে থাকেন, “গোলাম মুস্তার্জা নামে এক জন এসআই তাঁর হাতে আঘাত করেন। হাত থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়। আমি কি বাড়ি থেকে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে এসেছি? আপনি মারলেন কেন? সাধারণ লোককে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। আপনি আটকাবেন না কেন?” পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, “স্যার ওদিকে কিছু নেই।” এরপর বিজেপির তরফ থেকে ‘বাংলার পুলিশ হায় হায়’ বলে শ্লোগান দেওয়া শুরু হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, ধসের জেরে ভাগাড়ের ঠিক পিছনে ঝিলের ধারের পনেরো হাজার মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চার দিন পর এদিন সকালবেলা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, “তিন চার দিন সময় লাগবে। আমরা বিকল্প কোথাও একটা ব্যবস্থা করছি। পৌরসভা চিরকালই ঘর করে দিচ্ছে। এই টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড দিয়েই হচ্ছে। ওদেরও ঘর করে দেব। কিন্তু ওখানকার মাটিটাই ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। তাই অন্য কিছু একটা চিন্তা করতে হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে।” তারপর পুরমন্ত্রী ফেরার ঘণ্টা দেড়েক পর শুভেন্দু অধিকারী সেই এলাকায় গিয়ে ফিরহাদ হাকিমের কথার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তিন দিনের মধ্যে কিচ্ছু হবে না।’’ এরপরই শুভেন্দু অধিকারী এলাকাবাসীর সাথে কথা বলতে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে এলাকাবাসীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আর তিনি এলাকা ছাড়ার সময় এলাকাবাসীদের একাংশ ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান তুলতে থাকেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here