অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে আজ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, ‘‘রাজ্যর কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিং ব্যতীত অন্য সমস্ত জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি থাকবে। অর্থাৎ চলতি মাসের ২২ শে এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারী বিদ্যালয়গুলিকেও গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।’

কিন্তু শিক্ষামহলের একাংশ গরমের কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বিষয় প্রশ্ন তুলছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের জানান, ‘‘২২ শে এপ্রিল থেকে সরকার যে ছুটি ঘোষণা করেছে, তা আমরা চাইনি। বরং দাবী ছিল, আগামী ২২শে এপ্রিল অবধি তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হোক। তবে ২২ শে এপ্রিলের পর যদি আবহাওয়ার উন্নতি ঘটে, তখন কী করা হবে? তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ রইল।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএদিকে, বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘বিকল্প ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রতি বছর গ্রীষ্মপ্রধান দেশে পরিকল্পনাহীন ভাবে দিনের পর দিন একতরফা ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এতে পড়ুয়াদেরই ক্ষতি হচ্ছে। ফলে বেসরকারী বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়ার ঝোঁক বেড়েই চলেছে।’’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৯ ই মে থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা। আর ২০ শে মে ছুটি শেষ হতো। অথচ বিগত কয়েক বছর ধরে মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ওই ছুটি এগিয়ে আনা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereচলতি বছরও ছুটির সময় ৬ ই মে থেকে ২ রা জুন পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছিল। অথচ ওই সময় সূচীর পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘‘আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অল্প দিনের ব্যবধান রেখে ছুটি ঘোষণা করা উচিত ছিল।’’ কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ছুটি দেওয়ার পরিবর্তে অনলাইনে ক্লাস করানোর প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে তা বাস্তবায়িত হয় কি না, এখন শুধু সেটাই দেখার।