ব্যুরো নিউজঃ আমেরিকাঃ শুধু ভারতীয় নয়, এবার আর অন্য কোনো দেশের পড়ুয়াই আর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতি বছর পাঁচশো থেকে আটশো জন ভারতীয় পড়ুয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ে পড়তে যায়। বর্তমানে ৭৮৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া পড়াশোনা করছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বারণ করেছে। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তদন্ত করবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান, “হিংসা লালন করা, ইহুদিদের বিরুদ্ধে ভেদাভেদ, অত্যাচার করা ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে হাত মেলানোর জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
বিদেশী পড়ুয়াদের ভর্তি করা কোনো অধিকার নয়, বরং সুবিধা- একথাও ট্রাম্প প্রশাসন মনে করিয়ে দিয়েছে। একইসাথে বিদেশী পড়ুয়াদের থেকে নেওয়া এই বেশী টিউশন ফি বা পড়ার খরচ তাদের এই কাজ করতে সাহায্য করেছে। মূলত, আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতেই বিদেশী পড়ুয়াদের ভর্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা রয়েছে যে, ‘বিদেশী পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ পেতে এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন পেতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে হবে।’’ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়ো ক্ষতি করবে। সরকারের এই পদক্ষেপ বেআইনী। ১৪০টি দেশ থেকে এখানে মেধাবী পড়ুয়ারা পড়তে আসে, হার্ভার্ড তাদের পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
মার্কিন প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হার্ভার্ডের এই দশা থেকে যেন দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সাবধান হতে পারে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠছে যে, বর্তমানে যেসব বিদেশী পড়ুয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছেন তাদের কি হবে? তাদের হয়তো মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে দেশে ফিরে আসতে হবে। অথবা আমেরিকার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে হবে। তবে আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Here