অনেকেই বলে থাকেন, ‘রাতে শুতে গেলে বা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের শিরা বা মাংসপেশিতে তীব্র টান ধরে।’ এই সমস্যাকে সাধারণত নকটার্নাল লেগ ক্র্যাম্পস বলা হয়। আচমকা এই টান ধরা যেমন কষ্টকর, তেমনই মাঝে মাঝে গুরুতর রোগের পূর্বাভাসও হতে পারে।
ডিহাইড্রেশনঃ শরীরে জল কম থাকলে শিরা ও পেশীতে টান ধরা স্বাভাবিক।
বয়সজনিত কারণঃ বয়স বাড়লে পেশী দুর্বল হয়, শিরার স্থিতিস্থাপকতাও কমে যায়, তাই রাতেরবেলা পেশীতে বেশী টান ধরে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereইলেক্ট্রোলাইট ঘাটতিঃ শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে স্নায়ু এবং পেশি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে পেশীতে টান ধরে।
রক্ত সঞ্চালনের সমস্যাঃ পায়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে শিরায় চাপ পড়ে ও টান ধরে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই পায়ে টান ধরা সবসময় সাধারণ কারণ নয়, অনেক সময় এটি গুরুতর রোগের আভাসও হতে পারে।
১) স্নায়ুরোগঃ কিছু স্নায়বিক রোগ যেমন সায়াটিকা বা নার্ভ কম্প্রেশন থেকেও রাতেরবেলা পায়ে টান ধরে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here২) ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিসে স্নায়ু দুর্বল হওয়ায় পায়ে ব্যথা, ঝিনঝিন এবং টান ধরে।
৩) কিডনির সমস্যাঃ কিডনির অসুখে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পায়ে ঘন ঘন ক্র্যাম্প হয়।
৪) ভ্যারিকোজ ভেইনসঃ শিরা ফুলে গেলে বা মোটা হলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এর জেরে পায়ের শিরায় টান ও ব্যথা হয়।
৫) ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসঃ শিরার ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধলে হঠাৎ পায়ে টান ধরে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া দেখা দিতে পারে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থা।
৬) পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজঃ ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে হাঁটার সময় ও রাতে শোয়ার সময় টান ধরতে পারে।