নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ গতকাল বীরভূমের মল্লারপুরে ১৩ বছর বয়সী নাবালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে শোরগোল এলাকায়। অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ছয় যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হচ্ছে।

স্থানীয় জানা গেছে, ওই নাবালিকা আত্মীয়ের সঙ্গে মেলা দেখতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে তার পথ আটকে দাঁড়ান কয়েক জন যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান যুবকেরা। অভিযোগ, মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। রাতেরবেলা মেয়েটির খোঁজ শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পরে জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ। রাতভর ওই জঙ্গলে অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকেই ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্তেরা প্রত্যেকে স্থানীয় বাসিন্দা। ওই ৬ জন ছাড়া আরও কেউ যুক্ত ছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ধৃতদের হাজির করানো হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। অন্য দিকে, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ‘নির্যাতিতা’ নাবালিকাকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা’র বাবা বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানতাম না। পুলিশই ডেকে বলল, মেয়ের সঙ্গে কী হয়েছে। অভিযোগ জানিয়েছি। দ্রুত সকলের শাস্তির দাবি করছি।’’ ন্যক্কারজনক ঘটনায় ক্ষিপ্ত জেলার আদিবাসী সমাজ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আদিবাসী সংগঠনের নেতা রবীন সোরেন বলেন, ‘‘এই সমস্ত অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে সমস্ত দোষীর কড়া শাস্তির দাবি করছি। বিচারপ্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শেষ করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া যায়, সেটাই আমাদের আর্জি।’’ দুপুরে ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর সময় উত্তেজনা ছড়ায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে অভিযুক্তদের যখন আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন আদিবাসী সংগঠনের লোকজন মারধর করেন ছ’জনকে। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আদালত চত্বরে। অবশেষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।










