নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিকিমঃ এই মরসুমে আজ প্রথম সিকিমে তুষারপাত হয়েছে। এদিন উত্তর সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপতা ভ্যালি সাদা বরফের চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্রোত বৃদ্ধির ফলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দোমহনিল থেকে তিস্তায় বাংলাদেশ সীমান্ত অবধি অসংক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একইভাবে তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিন সকালবেলা থেকেই গজোলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১টা নাগাদ ২৭০০ কিউসেকের বেশী জল ছাড়া হয়েছে। তিস্তায় জলস্ফীতির কারণে ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ ব্লক এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তিস্তাপাড়ের নীচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সতর্কতা জারি করার করা হয়েছে।
পাশাপাশি একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আর জলপাইগুড়ি ইন্দিরা গান্ধী কলোনী বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় জল জমার কারণে এলাকাবাসী সহ ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। জেলার সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, তিস্তার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এদিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিডিওদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। প্রাথমিকভাবে সমস্ত কর্মীদের হেড কোয়ার্টার না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সকে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বোয়ালমারি ও ময়নাগুড়ির মোতিয়ার চর এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। জেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। এর সাথে সাথে ক্রান্তিতে এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার ফোর্স) নামানো হয়েছে।