মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে ৫৫ দিন পর আজ রাজ্য পুলিশ উত্তর চব্বিশ পরগণার মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার পর সোজা বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে। আর আদালতে গিয়ে চোদ্দ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে। কিন্তু আদালত শাহজাহানকে দশ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিন তাকে আদালত থেকে সরাসরি ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়।
এদিন পুলিশ সংবাদমাধ্যমের চোখে ধুলো দিয়ে শাহজাহানকে বসিরহাট থেকে বেরিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ঘটকপুকুর, ভোজেরহাট পেরিয়ে সায়েন্স সিটি পেরিয়ে কলকাতায় নিয়ে এসেছে। গোটা রাস্তা কার্যত যানবাহন শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল। একপ্রকার ‘গ্রিন করিডর’ গড়ে কোনো শোরগোল ছাড়াই শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবনে নিয়ে এসেছে। তাতে স্পষ্ট যে, এই পরিকল্পনা আগে থেকেই করা হয়েছিল। আগামী দশ দিন এখানেই রেখে রাজ্যপুলিশের পদস্থ অফিসারেরা দফায় দফায় জেরা করবেন।

- Sponsored -
পুলিশের নথিতে জানানো হয়েছে, ‘গত ৫ ই জানুয়ারী ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) আধিকারিকদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাতেই আজ ন্যাজাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রতাপ সরকার তাকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারীর পর শাহজাহানকে জেরাও করা হয়। আর জেরায় শাহজাহান প্রতাপ সরকারের সামনে সমস্ত অপরাধ স্বীকারও করে। আর পুলিশকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগীতা করবে।’
এদিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে তাকে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘শাহজাহানকে জামিন দিলে সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। আর সাক্ষীদের ভয় পাওয়াতে পারেন, আবার নিজেও গা ঢাকা দিতে পারেন। এছাড়া ইডি আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া সহ কর্তব্যরত ইডি আধিকারিকদের যেভাবে নৃশংস ভাবে নিগ্রহ ও লুটপাট করা হয়েছে, তারও মাস্টারমাইন্ড ছিল শাহজাহান।’’