নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ ট্রেন ধরতে সিঁড়ি দিয়ে নামার জন্য হুড়োহুড়ি। আর সেই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে আহত হলেন বেশ কয়েকজন। রবিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান স্টেশনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেলস্টেশনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।
এদিন একই সঙ্গে তিনটি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন পৌঁছয়। আর সেই ট্রেন ধরতেই যাত্রীদের মধ্যেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “চার, ছয় ও সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ছিল। চার নম্বরে মেন লাইনে বর্ধমান-হাওড়া লোকাল, ছয় নম্বরে রামপুরহাট লোকাল আর সাতে আসানসোল লোকাল দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেন ধরতে গিয়েই হুড়োহুড়ি শুরু হয়।” এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে ফুট ওভার ব্রিজে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সিঁড়িটা খুব ছোট। আর একই সময়ে রামপুরহাট ও আসানসোলের প্যাসেঞ্জার-সহ হাওড়া লোকাল ধরার জন্য যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। সেই চাপেই কয়েকজন পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন।”
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনাকে ঘিরে রেলস্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী বর্ধমান স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু সংকীর্ণ সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীর অভাব নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রেল প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে, আহতদের দেখতে বর্ধমান হাসপাতালে আসেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here