নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আজ পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন। এদিন রাজধানীতে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচী রয়েছে। তাই কৃষকেরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী না হয় তা আটকাতে দ্রুত হরিয়ানা সরকার ডাবওয়ালির গুরু গোবিন্দ সিংহ স্টেডিয়াম ও সিরসার চৌধুরি দলবীর সিংহ ইন্ডোর স্টেডিয়াম দু’টিকে অস্থায়ী জেলে রূপান্তরিত করেছে। এছাড়া কৃষকদের কর্মসূচীর আগে ১২ ই মার্চ অবধি দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
পাশাপাশি, দিল্লির সীমান্তে জায়গায় জায়গায় কংক্রিটের দেওয়াল তৈরী করা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া এবং পেরেকের পাটাতন বসানো হয়েছে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বিরোধী দল ও কৃষক সংগঠনগুলি কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) রাস্তা আটকানোর চেষ্টার প্রতিবাদ করেছে। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা দিল্লি সীমানায় পেরেক বসানোর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘কৃষকের পথে পেরেক-কাঁটা বিছানো কি ‘অমৃতকাল’ নাকি ‘অন্যায়কাল’?’’
এসকেএম নেতা জগজিৎ সিংহ ডালেওয়াল একটি ভিডিয়ো বার্তায় জানান, ‘‘সরকার ভয় পাচ্ছে কেন? বিশাল ব্যারিকেড তৈরী করা হয়েছে। এটাই কি গণতন্ত্র? পরিস্থিতি খারাপ হলে এর দায়ভার হবে খট্টর সরকারের।’’ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি নেতা ভগবন্ত মান দিল্লি এবং হরিয়ানায় প্রবেশের পথগুলিকে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) সাথে তুলনা করে বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রকে কৃষকদের সাথে আলোচনা করার ও তাদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। পাকিস্তানের সীমান্তের মতো দিল্লি যাওয়ার রাস্তাগুলিতে (পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা) তার লাগানো রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব-হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকেরা ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা ও তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবীতে ১৩ ই ফেব্রুয়ারী ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন। একাধিক দাবী নিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন। আর দু’শোটির বেশী কৃষক সংগঠন আন্দোলনে অংশ নেবেন। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে কৃষক সংগঠনগুলিকে দাবীদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসার ডাক দিয়েছে।