নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ দীর্ঘদিনের আইনী লড়াই শেষ। প্রায় সাত পুরুষ পর উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে আজ নদীয়ার তফশিলি জাতি তথা দাস সম্প্রদায়ের লোকজন কালীগঞ্জ ব্লকের পালিতবেঘিয়ার বৈরামপুর গ্রামের শিব মন্দিরে পা রাখলেন। কড়া পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পুজোও দিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে দীর্ঘ সময়ের রীতিতে এবার ইতি টানা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের সেবায়েতরা দাস সম্প্রদায়ের লোকজনদের ওই মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিতেন। সেই নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি। দিনের পর দিন তারা পুজো করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পরে দাস সম্প্রদায়ের লোকজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পুলিশের সহযোগীতা করার নির্দেশ দেন। আর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাশাপাশি বাংলার বুকে এমন অভিযোগ রয়েছে শুনে রীতিমতো হতভম্ভ হয়ে জানান, “বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এটা পুলিশের অক্ষমতা। ওসি নয়, কোনো সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই ঘটনার পিছনে কি কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।” এই নির্দেশের পর গত বুধবার জেলা পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ ওই গ্রামের অভিযোগকারী এবং সেবায়েতদের সাথে আলোচনায় বসেন। আর ওই আলোচনা সদর্থক হয় বলেও জানা গিয়েছে। এরপরই এদিন পুলিশের নিরাপত্তায় দাস সম্প্রদায়ের লোকজনরা পুজো দিতে পারলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here