মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ আজ আবারও ছয় জন সদস্যের বিজেপি সাংসদদের একটি দল কলকাতা থেকে উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যে দলের পাঁচ জনই মহিলা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ায় এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছ’জন বিজেপি সাংসদ নিয়ে একটি দল গড়েছেন। এই দলে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্যেরা রয়েছেন। এদিন পুলিশ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সন্দেশখালি অভিযানের খবর পেয়ে রামপুরের কাছে ব্যারিকেড তৈরী করে।
এরপর বিজেপির প্রতিনিধি দল সেখানে পৌঁছতেই পুলিশী বাধার মুখে পড়তে হয়। তখন পুলিশের সামনে বিজেপির মহিলা নেত্রীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিজেপির অভিযোগ, “তারা জানিয়েছিল যে, পাঁচ জন প্রতিনিধি সন্দেশখালি যাবেন। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হবে না। তবুও পুলিশের অনুমতি মেলেনি।” ফলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ রামপুরের কাছে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন বহু মহিলা পুলিশকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করে। পাশাপাশি বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্য ও কর্মী-সমর্থকেরা শাসকদল বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিজেপি নেত্রীরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। এমনকি ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়। অন্যদিকে, এদিনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যেতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।