চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হলেন আবৃত্তি জগতের এক অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ। গৌরী দেবীর মৃত্যুতে সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই গৌরী দেবী অসুস্থ ছিলেন। মাস খানেক আগে স্ট্রোক হয়েছিল। এরপর বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তির করার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আর এন টেগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। সেখানেও ক্রমে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকেই ইহলোক ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দেন।
গৌর ঘোষ ও পার্থ ঘোষ আবৃত্তির জগতের অন্যতম জুটি। বাস্তব জীবনেও স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জুটি বেঁধেছেন। অবশেষে এদিন গৌরী ঘোষের প্রয়াণে সেই জুটি ভাঙল। গৌরী দেবী এবং পার্থবাবুর রেডিওতে উপস্থাপক হিসাবেই পথ চলা শুরু। দীর্ঘদিন আকাশবাণীতে কাজ করেছেন। তারপর বহু শো এর উপস্থাপনা করেছেন।
গৌরী দেবী ও পার্থবাবুর বাংলা কবিতার একাধিক সিডি এবং ক্যাসেটও রয়েছে। এর মধ্যে ‘এই তো জীবন’ সহ বেশ কয়েকটি কবিতা জনপ্রিয়।
গৌরী দেবীর সাথে বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনাকালে যখনই দিদির সাথে ফোনে কথা হয়েছে তখই উনি বারবার মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করেছেন। বয়স আশির ঊর্ধ্বে। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়া মানতে পারছি না। আমি যেন আমার মাকে হারিয়েছি।
মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার মাতৃহারা হলাম। পরিবারে মা চলে গেলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় এখন তেমনটাই মনে হচ্ছে। এটাই দুঃখের যে আমি তাঁর জীবনী নিয়ে একটা কাজ করছিলাম তবে সেটা শেষ হয়নি। তাঁর দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। আর সেটা হলো না”। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গৌরী দেবীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন।