নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হিমাচল প্রদেশঃ মঙ্গলবার রাতেরবেলা বর্ষবরণের উৎসবের মধ্যে রিসর্ট মালিককে খুনের অভিযোগ উঠল তিন জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের হামলায় রিসর্টের এক কর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন। অভিযোগ, মদ খেতে চেয়ে রিসর্টে হানা দিয়েছিলেন তিন উর্দিধারী। মধ্যরাতের পর চারপাশে তখন নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব চলছিল। মদ এবং খাবার চাইলেও রিসর্ট থেকে তিন পুলিশকর্মীকে ‘না’ করে দেওয়া হয়। এর পরেই শুরু হয় বচসা এবং হাতাহাতি। তাতে রিসর্ট মালিকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হিমাচল প্রদেশে ডালহৌসির কাছে বানিখেতের একটি রিসর্টের ঘটনা। রিসর্ট থেকে তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের পর ওই তিন জন রিসর্টে গিয়েছিলেন। খাবার এবং মদ চেয়েছিলেন তাঁরা। রিসর্টের কর্মীর সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হয়। কর্মী জানিয়ে দেন, এত রাতে খাবার বা মদ, কোনওটাই পাওয়া যাবে না। ওই রিসর্ট কর্মীর সঙ্গে তিন পুলিশের ঝগড়া শুরু হয়। তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। বচসা শুনে পরিস্থিতি সামাল দিতে এসেছিলেন রিসর্টের মালিক রাজেন্দ্র।
তাঁর সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয় অভিযুক্তদের। তাঁদের এক জনের ধাক্কায় রাজেন্দ্র আহত হন এবং মেঝেতে পড়ে যান। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তিন পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা চম্বা-পাঠানকোট জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দীর্ঘ ক্ষণ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত কনস্টেবলদের গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। চম্বার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।