গবেষণায় জানা যাচ্ছে এডস ও কোভিডের বিনাশ ঘটাতে পারে এলইডি বাল্ব

Share

ব্যুরো নিউজঃ কানাডাঃ সম্প্রতি গবেষণায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে এলইডি আলো ও অতিবেগুনী রশ্মির (আলট্রাভায়োলেট রে অথবা ইউভি লাইট) অবাক করা ক্ষমতা ধরা পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই করোনা পরিস্থিতিতে ভাইরাস মারার নতুন নতুন পথ বার করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী গবেষণা করে দেখা গেছে এলইডি-অতিবেগুনী রশ্মির বাল্বের আলো খুব শীঘ্রই করোনা ভাইরাসের সবক’টি রূপকে মেরে ফেলতে পারে। এছাড়া এইচআইভি ভাইরাসের বিনাশ ঘটাতে পারে। 


এই পদ্ধতির জনপ্রিয় হয়ে ওঠার দু’টি কারণ হলো এই ধরনের আলোর বাল্বের দাম খুব বেশী নয়। আর রাস্তা-ঘাটের যেকোনো আলোকে খুব সহজেই এই ধরনের আলোয় রূপান্তর করা যায়। অর্থাৎ মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে রাস্তা-ঘাটের সব এলইডি-ইউভি আলোকেই খুব সহজে করোনা ভাইরাস এবং এইচআইভি ভাইরাস মারার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তীব্র বিকিরণের মাধ্যমে অতিবেগুনী রশ্মি ভাইরাস নিঃশেষ করে। গবেষকরা ব্যাসিলাস পুমিলাস স্পোরের উপর খুব বেশী কম্পাঙ্কের শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি ফেলেছিলেন। তাতে দেখা যায় যে ওই ব্যাক্টেরিয়া অতিবেগুনী রশ্মির ঝাপটা সামলাতে না পেরে ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ওই ব্যাক্টেরিয়ার ৯৯ শতাংশ মরে যাচ্ছে। 


আর অতিবেগুনী রশ্মির ঝাপটায় ওই ব্যাক্টেরিয়া মরে যাওয়ায় অন্য ভাইরাস মরবে কিনা তা দেখার জন্য গবেষকরা করোনা ভাইরাসের সবক’টি রূপ ও এইচআইভি ভাইরাসের উপর পরীক্ষা করেছিলেন। মূলত হাঁচি এবং কাশির সাথে বেরিয়ে আসা ড্রপলেট থেকেই করোনা ভাইরাস ও এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমিত হয় (এইচআইভি ভাইরাস বায়ুতে ভাসে না)।


গবেষকরা এই ড্রপলেটের উপরেই অত্যন্ত শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি ফেলেছিলেন। তাই ড্রপলেটগুলিকে গবেষণাগারে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রবণ থাকা পেট্রি ডিশে রেখেছিলেন। 

তাতে দেখা গিয়েছে, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে অতিবেগুনী রশ্মির ঝাপটায় করোনা ভাইরাস এবং এইচআইভি ভাইরাস ৯৩ শতাংশ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এদিকে ভাইরাসগুলির সংখ্যা যত বাড়ে ভাইরাসগুলি অতিবেগুনী রশ্মির ঝাপটা ততো বেশী সময় সহ্য করতে পারে।

পাশাপাশি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ৮৮ শতাংশ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমনকি যদি এক বারের অতিবেগুনী রশ্মির ঝাপটায় কয়েকটি ভাইরাস বেঁচেও যায় তাহলে আরো দু’ থেকে তিন বারের ঝাপটায় ভাইরাসগুলি প্রায় নির্মূল হয়ে যায়। 

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031