নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে গতকাল মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় দিনভর তাণ্ডব চলেছে। সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ উত্তপ্ত হয়েছে। আবার কোনো কোনো বাড়িতে ভাঙচুর চালোনো হয়েছে। একাধিক জায়গায় সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। এমনকি বাস ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাতভর বিএসএফ টহল দিচ্ছে। রাত পোহানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো এলাকা থমথমে।
তবে জানা গেছে, গতকাল রাতেরবেলা রেল লাইনের উপর বসে বিক্ষোভ দেখানো হলে বহু যাত্রী আটকে পড়েন। এরপর রাতেরবেলা রেলের তরফে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সকালবেলা দেখা যায়, রেলের অনেক জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি রেলের রিলে রুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে যে, “আন্দোলনকারীরা আন্দোলনের নামে রেলের সম্পত্তিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে।”
পূর্ব রেলের তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি রিলে রুম, কন্ট্রোল রুম ও লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি রিলে রুম থেকে বেশ কিছু দামী বৈদ্যুতিক সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রেন কোন লাইনে আসবে বা কোন লাইনে দাঁড় করিয়ে অন্য ট্রেনকে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটা এই রিলে রুম থেকে স্থির হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুঠে ওই লাইনে রেল পরিষেবা কার্যত ব্যাহত হয়েছে।