নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ প্রায় ২৫ বিঘা জমির দখল-বেদখলের অভিযোগে হুগলী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, সালটা ১৯৯৪ ছিল। সূত্রের খবর, হুগলীর দাদপুর থানার বাবনান গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রাম মৌজার প্রায় পঁচিশ বিঘা জমি ওই সময় পাট্টা দেওয়া হয়। এলাকারই ১৭৭ জন সেই পাট্টা পেয়ে এতদিন চাষবাস করছিলেন। এবার ওই জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরী হয়েছে। যার রেশ হাইকোর্ট অবধি গড়িয়েছে।
জমির মালিক জমি ফিরে পেতে মামলা করেছেন। হাইকোর্ট জমির হিসেব বুঝিয়ে দিতে মহকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়। সেই মতো গত বুধবার প্রশাসনের লোকজন পুলিশ নিয়ে জমি দখল নিতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন ফের ব্লক প্রশাসন বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে জমির দখল নিতে গেলে পুলিশের সাথে বচসা শুরু হয়। পাট্টাদাররা পোলবা-দাদপুর বিডিও এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। সিপিআইএম বিক্ষোভে দলের পতাকা নিয়ে নেতৃত্ব দেয়।

- Sponsored -
পাট্টাদাররা জানান, “বাম সরকার পাট্টা দিয়েছিল। এই জমি তাদের। বর্তমান সরকার ওই জমি কেড়ে নিতে চাইছে। কিন্তু কোনোমতে জমি ছাড়বেন না। গত ত্রিশ বছর ধরে ওই জমিতে চাষ করছেন।” তবে জমির প্রকৃত মালিকানার অংশীদার মহসীন মণ্ডল বলেন, “বাম সরকারে আমলে সিপিএম জোর করে জমি দখল করে বিলি করে দিয়েছিল। এই জমির মালিক আটওয়ারা খাতুন। ২০০২ সালে পাট্টা খারিজ হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে আমাদের নামে পর্চা হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও দখল নিতে পারিনি। আদালত নির্দেশ দিলেও প্রশাসন তা দিতে পারছিল না। বর্তমানে ওই পাট্টাদারদের ষাট শতাংশ মারা গিয়েছেন। যারা আছে তারা মৌখিক ভাবে জমি অন্যকে বেচে দিয়েছে।”