নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ বারাণসীতে বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগ উঠল। সোমবার বিজেপি নেত্রীর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ন’জন মহিলা এবং চার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই ফ্ল্যাটে রমরমিয়ে চলছিল যৌনচক্র। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, স্পা সেন্টারের আড়ালে দেহব্যবসা চালানো হচ্ছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে ফ্ল্যাটে যৌনচক্রের হদিস মিলেছে, সেটি শালিনীর স্বামী অরুণ যাদবের নামে নথিবদ্ধ। ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মহিলারা আসতেন ওই ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে বেশি কিছু আপত্তিজনক জিনিসপত্র, নাম নথিভুক্তকরণের খাতা, মোবাইল ফোন এবং আরও অনেক তথ্য উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটটি রয়েছে সিগরাতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে পুলিশ এবং স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বারাণসীর ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়। প্রথমে স্পা সেন্টারে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর ফ্ল্যাটে। সেখান থেকেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃত মহিলাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বারাণসীর আশপাশের জেলাগুলি থেকে ওই ফ্ল্যাটে আসেন তাঁরা। তবে এই চক্রের জাল যে অনেক দূর ছড়িয়ে তা অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। তাই সিগরার পাশাপাশি মাহমুরগঞ্জ, ভেলুপুর এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বেশ কয়েকটি স্পা সেন্টারে হানা দেয় পুলিশপেশায় শালিনী এক জন পোশাক পরিকল্পক (ফ্যাশন ডিজ়াইনার)। কিন্তু পাশাপাশি এক জন রাজনীতিকও। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের হয়ে কাশীতে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন শালিনী। ১ লক্ষ ১৩ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে সামজবাদী পার্টিতে (এসপি) যোগ দেন শালিনী।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ওই বছরেই লোকসভা নির্বাচনে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন। কিন্তু হেরে যান। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই বিজেপিতে যোগ দেন শালিনী এবং এসপির জেলা সভাপতি পীযূষ যাদব। যদিও দলের কোনও পদ দেওয়া হয়নি শালিনীকে। শ্বশুর শ্যামলাল যাদবের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ শালিনীর। তাঁর শ্বশুর ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা এবং মন্ত্রী। গাজিপুরের বাসিন্দা শালিনী বিয়ে করেন অরুণ যাদবকে। শ্যামলালের কনিষ্ঠ পুত্র অরুণ। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলাবিভাগে স্নাতক করার পর শালিনী পোশাক পরিকল্পক বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।










