নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আর মাত্র তিন দিনের অপেক্ষা। আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২১-২২ সালের অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে চলেছেন।
এর আগেই রেলের বাজেট নিয়ে সম্ভাব্য একটি প্রতিবেদন পেশ করল রেটিং এজেন্সি ব্রিকওয়ার্ক রেটিংস। BWR Pre-Budget Expectations FY22 নামে সেই রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন বাজেটে রেলওয়ে খাতে প্রায় ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হতে পারে। এক্ষেত্রে রেলওয়ের গ্রস বাজেটরি সাপোর্টের পরিমাণ হতে পারে ৭৫,০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে বরাদ্দ হয়েছে ২০,০০০ কোটি টাকা। আর সেটা বৃদ্ধি করে বার্ষিক ৩০,০০০ কোটি করতে হবে। এর ফলে রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামো আরো মজবুত হয়ে উঠবে।
এবারের রেলওয়ে বাজেটে একাধিক ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রাইভেট ট্রেন, নতুন রুটের দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন পরিষেবা, ট্যুরিস্ট বা পুণ্যস্থানের রেলওয়ে সংযোগ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে রেলসংযোগ আরো শক্তিশালী এবং মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এগুলির পাশাপাশি গ্রিন এনার্জির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই খাতেও একটা মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ হতে পারে। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র-বিহার থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যে কিষান রেল প্রকল্প শুরু হয়েছে তাকেও আরো বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এমনকি রেলওয়ে বেসরকারীকরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবার ক্ষেত্রে Public private partnership জন্য আবেদনগুলির মূল্যায়ন করে ফেলেছে। কোটেশনের জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। ১২০টি আবেদনের মধ্যে ১০২টি আবেদন এখন Request for proposal স্টেজে রয়েছে। এই আবেদনের তালিকার মধ্যে GMR, BHEL, Larsen এবং Toubro-র মতো একাধিক সংস্থাও রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জেরে স্বাস্থ্য খাতে দ্বিগুণ টাকা বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতমানের করে তুলতে আগামী চার বছরের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হতে পারে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের ৪%। বর্তমানে কেন্দ্র স্বাস্থ্য খাতে খরচ করে থাকে জিডিপির ১.৩%। টাকার অঙ্কের হিসেবে ৬২ হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪% না হলেও অন্তত ২.৫% যদি বরাদ্দ করে খরচ করা যায় তাতে অনেকটাই লাভ হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্প যেমন স্বচ্ছ ভারত, আয়ূষ্মান ভারত, জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য অভিযান প্রকল্পকে আরো বেশি সংখ্যক মানু্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে।।